বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০

চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে ব্লগিং থেকে আয় করা যায়।

✏ আপনার কি লেখার প্রতি আগ্রহ আছে, সৃজনশীল লেখার ধারণাগুলো কি আপনার মনে উঁকি দেয়? যদি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আপনি নিজের লেখার সক্ষমতাকে স্থিতিশীল আয়ের উৎসে পরিণত করতে পারেন। আর সেটা হলো ব্লগ লেখা।

কয়েকবছর আগেও ব্লগিংকে শুধুমাত্র শখ হিসেবে নেয়া হত। বর্তমানে ব্লগিংকে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের একটি কার্যকর উপায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক লেখক বা ব্লগারের পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও ব্লগিংকে পূর্ণ বা খণ্ডকালীন পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।

ব্লগ থেকে অর্থোপার্জনের জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে। এরপর নিজের ব্লগকে নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। মানি ব্লগিংয়ের (অর্থ উপার্জনের ব্লগ) জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যাবসায়, দক্ষতা এবং যথাযথ পরিকল্পনা।

চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে ব্লগিং থেকে আয় করা যায়।

কার্যকরী ব্লগ ব্যবসায়ের পরিকল্পনা গ্রহণ:


অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে চাকরি খোঁজা যদি আপনার অপছন্দের বিষয় হয় কিন্তু লেখক হিসাবে আপনি অবাধে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে ব্লগিং হতে পারে আপনার কাজের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। আপনি যদি ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে এটিকে ব্যবসা হিসাবেই গণ্য করুণ। ব্লগিংকে যদি পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে চান তাহলে নিজের আর্থিক সক্ষমতা, লক্ষ্য আর ব্যবসা পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে কিছু অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ব্লগের পেছনে আপনার বিনিয়োগ শুরু হতে পারে মাত্র ১০ ডলার (ডোমেইনের মূল্য) থেকে। তবে এটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো নয়, মানি ব্লগিংয়ের জন্য একটি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিক্ল্পনার প্রয়োজন হয়।

প্রথমেই আপনার ব্লগের জন্য একটি বাজেট তৈরি করুন। এর মধ্যে অবশ্যই লোগো ডিজাইন, ডোমেইন, হোস্টিং ফি, ব্লগ থিমের মূল্য, প্লাগ-ইন এবং মাসিক ইন্টারনেট ফি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। অনলাইন বা অফলাইনে আপনার বিপণনের কৌশলগুলোর উপর নির্ভর করে ব্লগ বাজেটে ব্রান্ডিং বা বিজ্ঞাপনের ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এরপর আপনি কতটা সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন তা স্থির করুন। অবশেষে আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (আরওআই) গণনা করুন।


উপার্জনের জন্য যেভাবে ব্লগ তৈরি করবেন:

ব্লগ তৈরি করতে অনেক বেশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন হয়না। আপনার যদি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকে বা একদম নাও থাকে তবুও আপনি আয়ের জন্য ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। প্রযুক্তিবান্ধব ব্যাক্তি না হলেও, কীভাবে আপনি অর্থ উপার্জনের জন্য ব্লগ তৈরি করবেন এই নিবন্ধে আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করবো।

লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি:

দেশীয় লেখকরা অবশ্যই ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তবে একজন অনাবাসী লেখক হিসেবে আপনিও ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন যদি দক্ষতার সাথে নিজের লেখার মান উন্নয়ন করতে পারেন। আপনার লেখার দক্ষতা উন্নয়নের সর্বোত্তম উপায় হল পড়া এবং লেখা। আপনি যত বেশি অনুশীলন করবেন তত বেশি আপনার ভাষাজ্ঞান বাড়বে এবং আরও শক্তিশালী উপায়ে আপনি শব্দের মাধ্যমে নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে পারবেন।

এছাড়া, পাঠকদের জন্য তথ্যবহুল ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। আর এজন্য অনলাইন বা অফলাইনে গবেষণা চালিয়ে আপনাকে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বই এবং মানসম্পন্ন ব্লগপোস্টগুলো পড়তে হবে।

অনলাইন/অফলাইনে টাকা দিয়ে বা বিনামূল্যে বিভিন্ন কোর্সগুলোও গ্রহণ করতে পারেন, যেখানে প্রশিক্ষকরা সৃজনশীল লেখার কার্যকর বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। নিজের ব্যবসায়িক ব্লগ পরিকল্পনার অধীনে যদি আপনার পর্যাপ্ত বাজেট থাকে তাহলে আপনি মানসম্পন্ন লেখক নিয়োগ দিতে পারেন, যারা প্রয়োজন অনুসারে আপনার ব্লগের জন্য লিখবেন।


ব্লগ তৈরি:

প্রোগ্রামিং জ্ঞান না থাকা বা টাকা খরচ না করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। ব্লগার ডট কম বা ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম এর মতো বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম বিনা খরচে ব্লগ তৈরি করার এই সুবর্ণ সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্মগুলোতে হোস্টিং স্পেস, থিম বা প্লাগ-ইন সীমিত থাকায় এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

একটি ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বা দ্রুপালের মতো সিএমএস (কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) বেছে নিতে পারেন। জনপ্রিয় এই সিএমএস প্লাটফর্মগুলো বিনামূল্যে বেশ কিছু থিম ও প্লাগইন সরবরাহ করে থাকে। আর কোনো টাকা খরচ না করেই এই থিম ও প্লাগইনগুলো আপনি নিজের ব্লগে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বিনামূল্যের এই থিম ও প্লাগইনগুলোতে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকায়, নিজের লেখার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে মানি ব্লগের জন্য টাকা দিয়ে থিম কিনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। থিমফরেস্ট ডট নেট এর মতো নামী জায়গা থেকে আপনি আপনার উপযুক্ত থিম কিনতে পারবেন। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের পছন্দমতো থিম তৈরি করে নিতে আপনি ডিজাইনারও নিয়োগ করতে পারেন।

ট্রাফিকের সম্ভাব্য উৎস বের করা:     

ওয়েব ট্রাফিক হল আপনার ব্লগের দর্শক বা শ্রোতা। আপনার ব্লগ তখনই অর্থ উপার্জন করবে যখন কেউ সেখানে থাকা কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। দর্শকরাই হল সেই সোনার খনি যাদেরকে আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে যাচ্ছেন। আর এই ওয়েব ট্রাফিক আপনার ব্লগের প্রাণ অর্থাৎ উপার্জনের উৎস।

অর্থোপার্জনের জন্য আপনার ব্লগের প্রতি দর্শককে আকৃষ্ট করতে হবে। কোন উৎস থেকে আপনি পাঠকদের আপনার ব্লগের দিকে টানতে পারবেন তা বুঝতে হবে। গুগলের মতো কোন সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পেলে এটিকে বলা হয় ‘অরগ্যানিক’ ট্রাফিক। এটি বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

অন্যদিকে আপনি যদি আপনার ব্লগে দর্শক টানতে গুগল বা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অর্থপ্রদানকারী প্রচারণা বা বিজ্ঞাপন পরিচালনা করেন তাহলে সেটি অর্থ প্রদত্ত ট্রাফিকের আওতায় আসে।

গুগল বা ফেসবুকে প্রচারের ব্যয় সেই নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড/বাক্যাংশের প্রতিযোগীতার ওপর নির্ভর করে যার জন্য আপনি গুগল বা ফেসবুক থেকে দর্শক টানতে চান। নিজের ব্লগ ব্যবসায়ের পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে আপনি অরগ্যানিক বা অর্থ প্রদত্ত উৎস বেছে নিতে পারেন।

গুগল এসইআরপিতে ব্লগের র‌্যাঙ্কিং:

যখন কেউ সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কীওয়ার্ড দিয়ে কিছু অনুসন্ধান করে তখন অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে প্রাসঙ্গিক ফলাফল উপস্থাপন করে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজেস (এসইআরপি)। যদি আপনার ব্লগ পোস্টটি কোনো নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের জন্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় অবস্থান পায় তাহলে অরগ্যানিকভাবেই এটি অনেক দর্শক টানতে পারে। যেহেতু গুগল এখন বিশ্বের এক নম্বর সার্চ ইঞ্জিন, তাই ব্লগ পোস্টগুলোকে গুগল এসইআরপিতে দৃশ্যমান করার জন্য আপনার কাজ করতে হবে।

গুগল এসইআরপিতে র‌্যাঙ্ক পেতে আপনার ব্লগ এবং ব্লগপোস্টগুলোতে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে হবে। এজন্য আপনি কোনো এসইও বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে পারেন বা নিজেই এর কাজ শিখে নিতে পারেন।



ই-মেইল তালিকা তৈরি:

অরগ্যানিক এবং অর্থ প্রদত্ত পদ্ধতি ছাড়াও ব্লগে পাঠক আনার জন্য আরও কিছু উৎস রয়েছে। যেমন- আপনি আপনার ব্লগে ইমেইলের মাধ্যমে দর্শকদের সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ জানাতে পারেন। সফলভাবে একটি ইমেইল তালিকা তৈরির পর আপনি আপনার ব্লগের সবশেষ পোস্ট, পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের ইমেইল পাঠাতে পারেন। এজন্য শিখে নিতে পারেন ই-মেইলের মাধ্যমে বিপণন কৌশল। এছাড়া ই-মেইল বিপণনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ফ্রি অথবা অর্থ প্রদত্ত সফটওয়্যারও।

যেভাবে ব্লগ থেকে টাকা আয় করবেন:

মান বজায় রেখে পর্যাপ্ত বিষয়বস্তুসহ ব্লগ প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনি মানি ব্লগিংয়ের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। ব্লগ থেকে টাকা আয়ের বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক:



ব্লগ থেকে অর্থোপার্জনের সর্বাধিক জনপ্রিয় উপায় হল বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কগুলো প্রয়োগ করা। এর জন্য প্রথমেই একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কে আপনার ব্লগ জমা দিতে হবে। যদি আপনার ব্লগ অনুমোদন পায়, তাহলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে বিজ্ঞাপন কোডটি সংযুক্ত করতে হবে। ব্লগের মধ্যে সফলভাবে কোড সংযুক্ত করা হলে কন্টেন্টের বিষয়বস্তু, ব্যবহারকারীর আগ্রহ বা বিভিন্ন অফারের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে সয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার ব্লগ পোস্টে বিজ্ঞাপন চলে আসবে।

বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কগুলো বিভিন্ন উপায়ে টাকা প্রদান করে থাকে। যেমন- পিপিসি (পে পার ক্লিক), সিপিসি (কস্ট পার ক্লিক) এবং পিপিভি (পে পার ভিউ)। গুগলের অ্যাডসেন্স এখন বৃহত্তম বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। তবে আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে কমিশন জংশন, মনুমেট্রিক, ইনফোলিংকস, মিডিয়া ডট নেট, মিডিয়াভাইন, অ্যাডথ্রিভ, প্রোপেলার বা রেভেনিউ হিটস এর মতো অ্যাড নেটওয়ার্কও ব্যবহার করতে পারেন।

শাখা বিপণন:

শাখা বিপণন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিপুল অর্থোপার্জন মানি ব্লগারদের মাঝে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আপনি একটি নির্দিষ্ট পণ্য নিয়ে পর্যালোচনামূলক লেখা লিখতে পারেন এবং সেই লেখার মধ্যে ওই পণ্যটি বিক্রয়ের লিঙ্ক সংযুক্ত করে দিতে পারেন। দর্শকরা আপনার লেখাটি পড়ার সময় সেখানে সংযুক্ত করা লিঙ্কের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পণ্যটি ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। বর্তমানে আমাজন, ইবে বা ওয়ালমার্টের মতো বিখ্যাত অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট শাখা বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে। এজন্য আপনাকে আপনার ব্লগ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে।

নিজ ব্যবসায়ের কন্টেন্ট বিপণন:

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোই তাদের গ্রাহকদের সেবা দেয়ার জন্য ব্লগ পরিচালনা করে থাকে। আপনি যদি স্থানীয় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হন তবে সেই ব্যবসা অনুযায়ী আপনি ব্লগ পরিচালনা করতে পারেন। পাঠকদের সহায়তার জন্য আপনি ব্লগ লিখতে পারেন। কর্তৃত্ব অর্জন করতে পারলে গ্রাহকরা আপনাকে বিশ্বাস করবে। এরপর আপনি আপনার দর্শকদের কাছে নিজের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। আর নিজের ব্লগ ব্যবহার করেই আপনি অনলাইনে আপনার পণ্য বিক্রয় করতে পারেন বা গ্রাহকদের কাছে আপনার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান প্রচার করতে পারেন।   

অর্থ প্রদত্ত পর্যালোচনা 

আপনার ব্লগটি যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ মানুষ দেখে থাকে তাহলে আপনি অর্থ প্রদত্ত পর্যালোচনামূলক লেখা বা স্পন্সরড রিভিউ করতে পারেন। এ ধরণের লেখার জন্য লেখককে অবশ্যই দক্ষ এবং এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে।

তবে স্পন্সরড রিভিউয়ের ক্ষেত্রে লেখককে অবশ্যই পাঠকের আগ্রহ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে গ্রাহকরা আপনার ব্লগের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারেন। টমোসন, ফেমবিট, রেভকন্টেন্ট বা আইজিয়া পে পার কস্টসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্পন্সরড রিভিউ এর সুযোগ দিয়ে থাকে।

পরিষেবা বিক্রয়:

আপনার কি গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং বা ফটোগ্রাফির মতো নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর দক্ষতা আছে? তাহলে নিজের মানি ব্লগের মাধ্যমে আপনি এই দক্ষতা কাজে লাগাতে পারেন। গুগল এসইআরপির মতো অরগ্যানিক উৎস থেকে আপনি গ্রাহকের সন্ধান করতে পারেন। 

বিজ্ঞাপনের জায়গা বিক্রয়:

আপনার ব্লগ যদি প্রতি মাসে পর্যাপ্ত পাঠক এবং পেজ ভিউ পায় তাহলে আপনি সরাসরি বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য আপনার ব্লগের জায়গা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে। বিজ্ঞাপনদাতাদের আকৃষ্ট করতে আপনার ব্লগের নকশাটি ব্যবহার বান্ধব হতে হবে যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই সেখানে সব কিছু দেখতে পারেন।


সবশেষ কথা    :ব্লগিং অনেকের কাছেই আবেগের বিষয়। আবার অনেকের কাছে শখ। আর আপনি যদি আপনার ব্লগিংয়ের শখকে পেশায় পরিণত করতে চান তবে মানি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এটি বহুমুখী একটি কাজ। ব্লগের মালিক হিসাবে আপনাকে একইসাথে সিইও, পরিচালক, কর্মী এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্লগ থেকে স্থিতিশীল আয়ের জন্য আপনাকে উপরে উল্লেখিত সকল প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। সামগ্রিকভাবে আপনার ব্লগকে দীর্ঘমেয়াদী আয়ের উৎস হিসাবে গড়ে তুলতে হলে এর বিষয়বস্তু বা কন্টেন্টের মান বাড়িয়ে তুলুন এবং আপনার মূল্যবান পাঠকদের জন্য ব্লগটিকে একটি উৎস হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করুন।

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০

Android Apps দিয়ে টাকা আয় 2020

blog...sulayman shahed
 Android Apps দিয়ে টাকা আয় 2020
HomeEarnings
Android Apps দিয়ে টাকা আয় 2020

 
সত্যিকারে আদৌ টাকা ইনকাম Apps আছে কি না? আমার ব্লগের পাঠকদের এই প্রশ্নে আমি এত বেশি বিব্রত যে, শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে টাকা ইনকাম করার এপস নিয়ে লিখতে বসলাম। কিছু দিন আগে আমাদের ব্লগে “মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট” শিরোনামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আপনি ঐ পোস্টটি পড়লে মোবাইল দিয়ে আয়ের সকল সত্য মিথ্যা ও বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।


 
বর্তমানে আমাদের সবার হাতে হাতে মিনিমাম একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। সে জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা আমাদের জন্য একদম সহজ হয়ে পড়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার জন্য টাকা ইনকাম Apps খুঁজে থাকেন। আপনি শুনে আরো অবাক হবেন যে, এমন অনেক লোক রয়েছে যারা বাটন ফোনে টাকা আয় করার উপায় খুঁজে বেড়ান! আপনি তাদের মধ্যে একজন হলে আজকের পোস্ট থেকে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র একটু ধৈর্য্যধারণ করে পোস্টটি পড়তে হবে।


 
আজকের পোস্টে আমরা ভালোমানের ৫টি Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার উপায় জানব। সেই সাথে পোস্টের শেষাংশে ২ টি বাংলাদেশী এন্ড্রয়েড এপস নিয়ে আলোচনা করব, যারা সত্যিকার অর্থে টাকা পরিশোধ করে থাকে। আমরা যে ৭ টি এন্ড্রয়েড এপস নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো অস্থায়ি নয়। এই ৭ টি এপস স্থায়িভাবে সবসময় তাদের সেবা চালু রাখবে।

সাধারণত অধিকাংশ এন্ড্রয়েড এপস থেকে আয় করার ক্ষেত্রে এপস এর ভীতরে থাকা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হয় কিংবা ভিডিও দেখতে হয়। সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক এবং ভিডিও দেখার পর একাউন্টে সামান্য কিছু টাকা জমা হয়। কিন্তু আমরা যে ৭ টি এন্ড্রয়েড এপস নিয়ে আলোচনা করবে সেগুলো থেকে টাকা আয় করার জন্য এ ধরনের কোন কাজ করতে হবে না।

অনলাইনে আয় করতে পড়ুন-
অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়ার উপায়!
ব্লগ তৈরি করে আয়: ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়?
ইউটিউব থেকে আয়: কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়?
আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব?
আমরা Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার যে এপস শেয়ার করব সেগুলো অনেক ভালোমানের এবং তারা সবসময় তাদের গ্রাহককে বিশ্বস্ততার সহিত টাকা পরিশোধ করে। তবে মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে একটা কথা জানিয়ে রাখছি যে, ব্লগিং ও ইউটিউবে কাজ করে আপনি যে পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন, টাকা ইনকাম Apps দিয়ে সেই পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন না।
Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
সাধারণত যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই তারা মোবাইলের মাধ্যমে Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার চেষ্টা করে। তবে এখানেও একটা সমস্যা আছে। আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট না থাকলে আপনি Android Apps দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন না। এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে দ্রুত গতি সম্পন্ন ডাটা কিনে নিবেন। সেই সাথে আপনার মোবাইল কিছুটা ভালোমানের হলে কাজ করতে আপনার জন্য সুবিধা হবে।
সেরা ৫ টি টাকা ইনকাম Apps
প্রথমে আমরা বিশ্বের জনপ্রিয় ৫ টি টাকা ইনকাম এন্ড্রয়েড এপস নিয়ে জানব, যারা সত্যিকার অর্থে টাকা পরিশোধ করে থাকে। এই ৫ টি এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজীতে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। কারণ এই এপসগুলোর সকল কার্যক্রম ইংরেজীতে করতে হয়। কাজেই ইংরেজীতে আপনার দক্ষতা না থাকলে এই এপসগুলো থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন না। সো আর কথা না বাড়িয়ে এপস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
1. Playment
Playment Android Earning Apps
এটি একটি ইন্ডিয়ান এন্ড্রয়েড এপস। বর্তমানে শুধুমাত্র ভারতের লোকজন এই মোবাইল এপস ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারে। এই এন্ড্রয়েড এপস থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য তেমন কিছু করতে হয় না। প্রথমে প্লে-স্টোর থেকে এপস ইনস্টল করে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হয়। ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে খুব সহজে একটি একাউন্ট তৈরি করে নেওয়া যায়। তারপর একটি একটিভ মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করে নিতে হয়। একাউন্ট ভেরিফাইড হওয়ার পর আপনাকে বিভিন্ন ধরনের টাস্ক কমপ্লিট করার জন্য বলা হবে। এপস এর নির্দেশনানুসারে টাস্ক কমপ্লিট করলে আপনার একাউন্টে কিছু টাকা জমা হবে।
2. Google Opinion Rewards
Google Opinion Rewards
এটি গুগল এর চমৎকার একটি এন্ড্রয়েড এপস। এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে এই এপটি সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই এপস থেকে ইনকামের টাকা ক্যাশ করা যায় না। আপনি এই এপস থেকে আয়ের টাকা দিয়ে শুধুমাত্র গুগল প্লে-স্টোর থেকে বিভিন্ন ধরনের পেইড এপস ক্রয় করতে পারবেন।

এই এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করার জন্য গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইনস্টল করে গুগল একাউন্ট ব্যবহার করে সাইনআপ করতে হবে। একাউন্টে লগইন করার পর গুগল আপনাকে প্রতি সপ্তাহে ২০-৩০ টি প্রশ্ন এবং মতামত জিজ্ঞেস করবে। আপনি প্রত্যেকটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারলে প্রতিটি উত্তরের জন্য ৫ থেকে ১৫০ টাকা করে ইনকাম করতে পারবেন। এটি গুগলের সার্ভিস হওয়ার কারনে পরিপূর্ণ ভরসা করা যায়।
3. Google Pay (GPay)
Google Pay (GPay)
এটি অনলাইনে কেনাকাঠার জন্য গুগলের একটি অসাধারণ এন্ড্রয়েড এপস। অনলাইন থেকে সব ধরনের জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় করে পেমেন্ট করার জন্য এই এপটি গুগল তৈরি করেছে। অনলাইনে কেনাকাঠার ক্ষেত্রে এই এপস এর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এটি অনেকটা পেপাল এর মত কাজ করে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই এপস এর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

এই এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে এপস ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কেনাকাঠা করতে হবে। আপনি যত বেশি কেনাকাঠা করবেন, আপনার লেনদেনের উপরে ভিত্তি করে শতকরা হারে আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। সাধারণত প্রতি ১০০ টাকা ব্যবহারে গুগল ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত ফেরত দিয়ে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ছুটির দিনে কেনাকাঠা ও বিল পরিশোধ করলে গুগল আরো বেশি হারে টাকা ফেরত দিয়ে থাকে।
4. Swagbucks
Swagbucks Android Earning Apps
Swagbucks এন্ড্রয়েড এপস থেকে আয় করার বিভিন্ন অপশন রয়েছে। এই এপস দিয়ে মোটামুটি ভালোমানের টাকা আয় করা যায় এবং আয়ের টাকা পেপাল এবং ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করা যায়। তাদের ওয়েব ভার্সন এবং এন্ড্রয়েড ভার্সন রয়েছে। আপনি চাইলে দুটি পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

সাধারণত এই এপস বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে থাকে এবং বিভিন্ন টাস্ক কমপ্লিট করার অপশন দিয়ে থাকে। এগুলো সঠিকভাবে পুরণ করার পর আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। এ ছাড়া এখানে তেমন কোন কঠিন কাজ নেই। শুধুমাত্র কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে খুব সহজে একটি একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারবেন।
5. Cointiply - Earn Free Bitcoin
Cointiply - Earn Free Bitcoin
এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করে টাকা হাতের পাওয়ার ক্ষেত্রে Cointiply অসাধারণ একটি এন্ড্রয়েড এপস। এই এপস এর ওয়েব ভার্সনও রয়েছে। এখানে একটি একাউন্ট তৈরি করে আপনি কিছু টাস্ক কমপ্লিট করে বিট কয়েন আয় করে নিতে পারবেন। আপনার উপার্জিত বিট কয়েন ডলারে কনভার্ট করে টাকা উত্তোলন করতে পারনে। সাধারণত এখান থেকে আয় করার জন্য আপনাকে Play Games, Install Apps, Filling Surveys, View ads এর মাধ্যমে বিট কয়েন ইনকাম করে নিতে হবে। এই কাজগুলো যত বেশি করবেন, আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।
বাংলাদেশি App দিয়ে টাকা ইনকাম
বাংলাদেশি Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার নির্ভরযোগ্য এবং জনপ্রিয় এপস এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। বিশেষকরে মোটামুটি ভালোমানের টাকা আয় করার মত কোন বাংলাদেশি এন্ড্রয়েড এপস এখনো নেই। তবে আমাদের দেশের কিছু ফাইন্যান্সিয়াল এন্ড্রয়েড এপস রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি কিছু ছোট খাটো এমাউন্ট আয় করে নিতে পারবেন। সেই রকম এপস এর মধ্যে নিচের কয়েকটি এপস বেশ জনপ্রিয়।
bKash
Nagad
Rocket
RapidCash
NexusPay
bKash Agent
Nagad Uddokta
Community Cash
GPAY
bKash Merchant
এগুলো ছাড়াও আরো কিছু এপস রয়েছে যেগুলোতে কাজ করে ছোট ছোট এমাউন্ট ইনকাম করা সম্ভব। এই এপসগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে যে, এখান থেকে আয় করার জন্য তেমন কোন অভীজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র সহজ কিছু স্টেপ অনুসরণ করে কাজ করতে পারলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। নিচে সে রকম জনপ্রিয় দুটি বাংলাদেশি এপস নিয়ে আলোচনা করছি।
1. bKash Android App
bKash Android App
আমাদের দেশের ডিজিটাল লেনদেনের অধিকাংশ কাজ বিকাশ একদম সহজ করে দিয়েছে। বিকাশকে বাংলাদেশের ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে গণ্য করা হয়। এই এপস দিয়ে টাকা পয়সা লেনদেন করার পাশাপাশি এপস রেফার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত প্রতিটি রেফার এর জন্য বিকাশ ২০ টাকা পরিশোধ করে থাকে।

গুগল প্লে-স্টোর থেকে বিকাশ এপস মোবাইলে ইনস্টল করে নিজে নিজে একটি একাউন্ট তৈরি করে সেটিংস থেকে রেফার আইডি ব্যবহার করে অন্যকে এপস ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ পাঠাতে পারেন। কেউ আপনার পাঠানো লিংক ব্যবহার করে বিকাশ এপস ইনস্টল করলে প্রতিটি রেফার এর জন্য আপনার একাউন্টে ২০ টাকা করে জমা হবে। এভাবে আপনি যত বেশি রেফার করবেন আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।
2. cWork - Micro Job
cWork - Micro Job Android Earning Apps
এটাকে এক ধরনের মাইক্রো জব এপ্লিকেশন বলা হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির কাজ পাওয়া যায়। এই এপসে একটি একাউন্ট তৈরি করে আপনি যে বিষয়ে জানেন সে বিষয়ে ৩০০ শব্দের লেখা সাবমিট করতে পারবেন। আপনার লেখার কোয়ালিটি অনুসারে আপনাকে টাকা পরিশোধ করা হবে। আপনার লেখা যত বড় এবং ভালো হবে আপনাকে তত বেশি টাকা পরিশোধ করা হবে।

এখানে শিক্ষা, বিনোদন, ব্লগিং থেকে শুরু করে নিউজ পোর্টালসহ প্রায় সকল ধরনের লেখালেখির কাজ পাওয়া যায়। সাধারণত অনলাইন আয়, ব্লগিং, বিনোদন ও গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নিয়ে লিখলে এই এপস থেকে বেশি টাকা আয় করা যায়। এই এপটি আমাদের দেশের হওয়ার কারনে বাংলা ভাষায় সকল ধরনের লেখা সাবমিট করা যায়।
শেষ কথা
সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার পর Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার বিষয়টি জেনে আপনি নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন। আপনি অবশ্যই ভাবছেন যে, এই সামান্য টাকা আয় করার জন্য এগুলোতে কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলছেন। আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। এগুলোতে কাজ করে কেউ স্মার্ট এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবে না। অনলাইন ভালোমানের এমাউন্ট আয় করতে হলে আপনাকে ব্লগিং অথবা ইউটিউবে কাজ করতে হবে।
 
 
https://www.shahidhossain119.blogspot.com

আলোকিত জীবন : জীবন জটিল। একদিন আপনি খুশি,

আলোকিত জীবন : জীবন জটিল। একদিন আপনি খুশি,: জীবন জটিল। একদিন আপনি খুশি, আপনার দৈনন্দিন কাজের কাজ করছেন, এবং পরের দিন আপনি জেগে উঠবেন, চিন্তা করবেন: "আমার জীবনের সাথে আমার কি করা ...

বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭

আদিকাল থেকেই আল আকসা মসজিদ ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আসছিল.

আদিকাল থেকেই আল আকসা মসজিদ ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আসছিল. 
-----------------------------------------------

আল আকসা মসজিদ

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের আল আকসাকে মুসলমানদের পবিত্র স্থান বলে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। ১৩ অক্টোবর পাসকৃত এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের ওপর ইসরাইলের কোনো অধিকার নেই, আল আকসা মুসলমানদের পবিত্র স্থান।

এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য ও বিশ্বসমাজে সর্বজনবিদিত বিষয়ও। যদিও এটিকে সিনাগগ বা ইহুদি মন্দির দাবি করে ইসরাইল অন্যায় আগ্রাসন ও মানবতাবিরোধী আচরণ করে যাচ্ছে।

মুসলিমদের কাছে আল আকসা মসজিদ নামে পরিচিত এই স্থাপনাটি ইহুদিদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত। 

আল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাস হচ্ছে- ইসলামের প্রথম কেবলা এবং মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্র স্থান। হজরত রাসূলে করিম (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদের উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যা অন্য কোনো মসজিদ সম্পর্কে করেননি।

বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদ এবং তার আশপাশের এলাকা বহু নবীর স্মৃতিবিজড়িত। এ পবিত্র নাম শুধু একটি স্থানের সঙ্গে জড়িত নয় বরং এ নাম সব মুসলমানের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসূলের মাজার।

আল আকসা মসজিদের গুরুত্বের আরও একটি বড় কারণ হলো প্রথম থেকে হিজরত পরবর্তী ১৭ মাস পর্যন্ত মুসলমানরা আল আকসা মসজিদের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীতে মহান আল্লাহর নির্দেশে মুসলমানদের কেবলা মক্কার দিকে পরিবর্তিত হয়।

মুসলমানদের প্রথম কেবলা হিসেবে পরিচিত এ মসজিদটি পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত। আল আকসা মসজিদের অর্থ হচ্ছে- দূরবর্তী মসজিদ। মসজিদটির অপর নাম ‘বায়তুল মুকাদ্দাস।’ 

এ পবিত্র মসজিদ থেকেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) উর্ধাকাশে তথা মেরাজ গমন করেছিলেন। নবী করীম (সা.) মিরাজ গমনের সময় আল আকসায় অতীতের সব নবী-রাসূলের জামাতে ইমাম হয়ে দু’রাকাত নামাজ আদায় করেন। মহান আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘সকল মহীমা তার- যিনি তার বান্দাকে এক রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছিলেন, যার চতুর্পার্শ্বকে আমি বরকতময় করেছি। (আর এই ভ্রমণ করানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে) যাতে আমি আমার নিদর্শন তাকে প্রদর্শন করি।’ -সূরা বনী ইসরাইল: ১

এ মসজিদের নির্মাণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। একদল ইতিহাসবিদ মনে করেন, আল আকসা মসজিদ মূলত হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমেই তৈরি হয়, যা পরবর্তী নবীরা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করেন।

হজরত ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক কাবা গৃহ নির্মাণের ৪০ বছর পর হজরত ইয়াকুব (আ.) আল আকসা মসজিদ নির্মাণ করেন। এরপর খ্রিস্টপূর্ব ১০০৪ সালে হজরত সোলায়মান (আ.) এই মসজিদটির পূণর্নির্মাণ করেন। বিভিন্ন শাসকের সময় মসজিদে অতিরিক্ত অংশ যোগ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গম্বুজ, আঙ্গিনা, মিম্বর, মেহরাব ও অভ্যন্তরীণ কাঠামো।

৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকা মুসলমানদের দখলে আসার পর মুসলমান শাসকরা কয়েকবার এ মসজিদের সংস্কার করেন। কিন্তু ১০৯৬ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা ফিলিস্তিন দখল করে নেওয়ার পর আল আকসা মসজিদের ব্যাপক পরিবর্তন করে একে গীর্জায় পরিণত করে। তারা মসজিদের গম্বুজের উপরে ক্রুশ স্থাপন করে এর নাম রাখে- ‘সুলাইমানি উপাসনালয়।’

এরপর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম সেনাপতি গাজী সালাহউদ্দিন আইয়ুবী জেরুজালেম অধিকার করার পর পূর্বের নকশা অনুযায়ী আল আকসা মসজিদের পুণর্নির্মাণ করেন। 

মসজিদটিতে ২টি বড় এবং ১০টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। এ মসজিদ নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বর্ণ, সিসা বা লিড এবং মার্বেলসহ বিভিন্ন প্রকার পাথর ব্যবহৃত হয়েছে। ঐতিহাসিক এ মসজিদটির আয়তন সাড়ে তিন হাজার বর্গমিটার। এ মসজিদে পাঁচ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন।

বর্তমানে ইহুদিবাদী ইসরাইল ঐতিহাসিক মসজিদটি দখল করে রেখেছে। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর বায়তুল মোকাদ্দাস মুসলমানদের হস্তচ্যুত হয়ে যায়। সেই থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস তাদের দখলে রয়েছে। ১৯৬৯ সালে তারা একবার আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগও করেছিল।

বর্তমানে এ মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। ইসরাইলের মুসলিম বাসিন্দা এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় প্রবেশ ও নামাজ আদায় করতে পারে। আবার অনেক সময় বাঁধাও দেওয়া হয়। এই বিধিনিষেধের মাত্রা সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। কখনও শুধু জুমার নামাজের সময় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। গাজার অধিবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ অনেক বেশি কঠোর। ইসরাইল সরকারের দাবি, নিরাপত্তার কারণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। 

ঐতিহাসিকভাবেই এটি মুসলমানদের পবিত্র স্থান। মুসলমানরা তাদের পবিত্র ভূমি, প্রথম কিবলা ও তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ দ্রুত ফিরে পাক- শান্তিপ্রিয় বিশ্বমানবতার এটা একান্ত প্রত্যাশা।

এই পবিত্র স্থান থেকে মুসলমানদের যারা বিতাড়িত করার চেষ্টায় লিপ্ত. তাদের ঘৃণা জানাচ্ছি.
এবং যারা এই মুসলিম স্থাপত্য কে ঘিরে
বিশ্বের মানুষকে সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা  এবং অশান্তি  দেওয়ার চেষ্টা করে তারা নিজেরা অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে মরবে. এবং পৃথিবী ধংসের কারণ হবে.
অবিলম্বে এই পবিত্র স্থান থেকে সকল উপ শক্তি বিদায় হয়ে যান..........
(আল্লাহ ক্ষমাশীল আমিন )



মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭

স্মৃতি

Listen to উপজাতীয় সং #সৌজন্যে -মেলা কর্নার**** by মেলা কর্নার শ্রীমঙ্গল #np on #SoundCloud https://soundcloud.com/mbsixonsw6cq/sets/cditcqmn7nit